রূপচর্চায় অ্যালোভেরার ব্যবহার
আপনি কি অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতার তথ্য জানতে চান। তাহলে
এই পোস্টটি আপনার জন্য। অ্যালোভেরা ত্বক ও চুলের জন্য অনেক
উপকারী। অ্যালোভেরায় প্রচুর পরিমাণ পানি
থাকায় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।
অ্যালোভেরা ঔষধি গুন রক্তচাপ কমায় দেহের ক্ষতিকারক পদার্থ
দূর করে। অ্যালোভেরার উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
অ্যালোভেরা হজম শক্তি বাড়াই।
পেজ সূচিপত্রঃ রূপচর্চায় অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা
- রূপচর্চায় এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা
- ত্বকের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা।
- অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম।
- অ্যালোভেরার জেলের অপকারিতা।
- রাতে অ্যালোভেরার ব্যবহারের উপকারিতা।
- অ্যালোভেরা জুস তৈরির নিয়ম।
- অ্যালোভেরা খাওয়ার অপকারিতা।
-
খালি পেটে অ্যালোভেরা খেলে কি হয়।
- চুলের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা।
- অ্যালোভেরা কি কি রোগের কাজ করে।
রূপচর্চায় অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা ।
রূপচর্চায় এলোভেরার ব্যবহার। অ্যালোভেরায় নানা ধরনের খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে এটিতে প্রায় বিশ ধরনের খনিজ
উপাদান রয়েছে যেমন ঃ ক্যালসিয়াম, জিংক , ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি।
ভিটামিন ই , ভিটামিন এ ইত্যাদি। যা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।পরিমাণ মতো
এলোভেরার সাথে কয়েক ফোটা নারিকেল তেল মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে
লাগালে মুখের ব্রণ কালো দাগ দূর করে এবং মুখের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি করে।
অ্যালোভেরা জেল ক্ষত দাগ ও এলার্জিজনিত রোগ দূর করে। নিঃসন্দেহে
আপনি প্রতি রাতে ঘুমানোর পূর্বে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন লাগাতে পারেন,
এটি বাধ্যতামূলক নয় তবে এলোভেরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত তার ভালো রাখতে সাহায্য
করে। এলোভেরা অয়েল মাথার খুশকি দূর করে এবং মাথার চুল সিল্কি করতে
সাহায্য করে।
এইবার চলুন এলোভেরা অপকারিতা জেনে নেওয়া যাক, আপনারা কি জানেন
প্রতিটা জিনিসের যেমন উপকারিতা আছে তেমন অপকারিতা ও রয়েছে। তাহলে
আমরা অ্যালোভেরার অপকারিকার সঠিক তথ্য জেনেনি!
অ্যালোভেরার পাতাই ল্যাটেক্স নামক ক্ষতিকারক পদার্থ আছে যা শরীরের
ক্ষতিকারক রোগের কারণ হতে পারে গর্ভ এবং গর্ভাবস্থায় এটি অনেক
ক্ষতিকর বাচ্চা নষ্ট হয়ে।যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে আবার মায়ের বুকের
দুধ সন্তানকে খাওয়ানোর ফলে ক্ষতিকারক প্খতিকারক। অ্যালোভেরা যেমন
ঔষধি গুণ হিসেবে কাজ করে তেমনি সঠিক পদ্ধতিতে কিংবা অতিরিক্ত ব্যবহারের
ফলে শরীরের আরও রোগ ব্যাধি বিস্তার ঘটতে পারে।
ত্বকের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা
রূপচর্চায় এলোভেরার ব্যবহার। অ্যালোভেরা ব্যবহারের ফলে
ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান হয়। অ্যালোভেরা ত্বকের ব্রণ ও
কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের মেকআপ উঠাতে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে
এলোভেরা ব্যবহার করা হয়। স্পর্ট বা একনি দূর দূর করার জন্য
এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের গভীর থেকে গভীরতা
ময়লা টেনে বের করতে সাহায্য করে।
রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বক সতেজ করার জন্য কিছুটা এলোভেরা নিয়ে ব্লেন্ড করে
কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ঠান্ডা
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বক নরম ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য
করে। অ্যালোভেরার প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি থাকায় এটি ত্বক চুল
এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ সতেজ করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে ত্বকে বরফ
ঘষলে একাধিক উপকার পাওয়া যায় তাই আমরা অ্যালোভেরার সাথে কিছু পরিমাণ পানি
মিশিয়ে আইস কিউবে রেখে বরফ করে আমরা ত্বকে মাসাজ করতে পারি
এতে করে ত্বকে শুষ্ক রুক্ষ ভাব দূর হয়।
প্রাচীনকাল থেকেই ঔষধি গুনাগুন হিসেবে অ্যালোভেরার পরিচিতই অনেক
বেশি। অ্যালোভেরার ব্যবহারের ফলে চোখে মুখের কালো দাগ এবং রোদে পুরা
কালো দাগ দূর হয়। অ্যালোভেরার ভালো ফলাফল পেতে কুসুম গরম পানি্র সাথে
ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের বিভিন্ন ক্ষত দাগ উঠাতে সাহায্য
করে। পরিশেষে বলা যায়, অ্যালোভেরার গুনাগুন ত্বকের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম
রূপচর্চায় অ্যালোভেরার ব্যবহার। আমরা যদি এলোভেরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানতে পারি তাহলে আমাদের জন্য এটা
অনেক উপকারী হবে। তাহলে চলুন আমরা অ্যালোভেরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে
নি!
অ্যালোভেরা জুস বা সালাত হিসেবে খাওয়া যায় । প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস
এলোভেরা জুস খেলে দেহের অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
অ্যালোভেরা জুস বা জেল খালি পেটে বা খাবারের সাথে খাওয়া যায়। শরীরে
আরো উপকার পেতে প্রতিদিন প্রতিবার খাওয়ার ১৪ মিনিট আগে ১ চামচ করে এলোভেরা
জুস পান করুন এতে করে আপনার শরীরের ওজন কমাতে এবং শরীরের বিভিন্ন রোগ
প্রতিরোধ করার জন্য সাহায্য করবে। অ্যালোভেরার ভালো গুণ পেতে রোজ সকালে ঘুম
থেকে উঠে এক গ্লাস জলের ভেতর এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে
পান করতে পারেন । যা আপনার দেহের জন্য ভালো গুনাগুন আনতে পারে।
এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে অ্যালোভেরা জেল ও কিছু পরিমাণ মধু
মিশিয়ে পান করলে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এলোভেরা জেল এর সাথে
কয়েক ফোটে লেবু রস মিশিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার শরীরে স্বাদ ও ভালো
গুনাগুন দুটোই বাড়বে। আপনি অ্যালোভেরা জেলের জুস খেলে আপনার
শরীরের অত্যন্ত ভালো গুনাগুন দেখতে পাবেন।
অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা
অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা অপরিসিম। অ্যালোভেরা জেল ত্বক,
চুল,দেহ ইত্যাদির ভালো গুনাগুন আনতে সাহায্য করে । অ্যালোভেরা জেল ত্বকে
যেভাবে সাহায্য করতে পারে , অ্যালোভেরা জেল সঠিকভাবে সঠিক নিয়মে
ত্বকে লাগালে অনেক উপকার হয় যেমনঃ ত্বকের রোদে পুরা কালো দাগ, ত্বকের
ব্রণ এবং খত দাগ এছারাও ত্বক নরম ও তুলতুলে করে তুলে। অ্যালোভেরা জেল চুলের
জন্য উপকারী অ্যালোভেরা জেল চুলে লাগালে চুল কালো ,ঘন ও সিল্কি করতে
সাহায্য করে থাকে ।
এছারাও অ্যালোভেরার জেল জুস করে খেলে শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।যা
আপনার বডি ফিট রাখতে সাহায্য করে । এলোভেরা জেল ত্বকের র্যস্, চুলকানি ,
রোদে পোরা কালো দাগ দূর করে এবং ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ
করে। এছাড়াও চুল পড়া খুক্শি দূর করা এবং চুলের রুক্ষ ভাব
দূর করে এই অ্যালোভেরা জেল। এবং ত্বকের তৈলাক্ত ভাব ও তৈলাক্ত ব্রণ
দূর করতে সাহায্য করে। ত্বক ও চুলের জন্য অ্যালোভেরা পারফেক্ট ব্যবহার।
আরো পড়ুন...... শিশুদের কোয়েল পাখি ডিমের উপকারিতা
রাতে অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহারের উপকারিতা
অ্যালোভেরার জেল রাতে ব্যবহার করলে কি হয় চলুন জেনে
নেই। ভালো উপকার পেতে আমরা সকলে প্রত্যেকটি উপাদান রাতে ব্যবহার করে
থাকি। কেননা রাতে ব্যবহারের ফলে আমরা অনেক ভালো ফলাফল পেয়ে থাকি। অ্যালোভেরা
জেল নিয়ম মতো রাতে ব্যবহার করে ঘুমালে সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেক ভালো
একটি ফলাফল পাবেন।
অ্যালোভেরা জেল ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর করে ব্রণ দূর করে ত্বকের কালো দাগ
হালকা করতে এবং সামগ্রিক ত্বকের টানটান ভাব দূর করে ত্বককে নরম এবং
উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করা যায়। অ্যালোভেরা জেলের
প্রচুর পরিমাণ পানি থাকায় এটি ত্বক সুন্দর নরম ও উজ্জ্বল করতে অতি
তাড়াতাড়ি কাজ করে। অ্যালোভেরা জেল আপনি বাসায় খুব সহজেই তৈরি করতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেল আপনি সব মৌসুমে ব্যবহার করতে পারেন এতে ত্বকের কোন
ক্ষতি হবে না বরং অনেক উপকারী হবে।
অ্যালোভেরার বিভিন্ন প্রোডাক্ট রাতে ব্যবহার করে ঘুমানোর
ফলে আপনার ত্বক আরো উজ্জ্বল এবং নরম করতে সাহায্য করবে অতি তাড়াতাড়ি।
অ্যালোভেরা জেল ফেসওয়াশ ক্রিম বডি ওয়াশ প্রত্যেকটা প্রোডাক্টটি ত্বকের জন্য
অনেক উপকারী। আপনি যদি মনে করেন বাসায় তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করবেন সে
ক্ষেত্রে এটির ফলাফল আরো ভালো পাবেন। তাই অ্যালোভেরার প্রত্যেকটি
প্রোডাক্ট এবং নিজে বাসায় অ্যালোভেরার জেল তৈরি করে নিশ্চিন্তে
ব্যবহার করুন। গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে রাতে ব্যবহার করলে ত্বকের জন্য অনেক
ফলাফল পাবেন।
অ্যালোভেরা জুস তৈরির নিয়ম
অ্যালোভেরা জুস তৈরির নিয়ম। খুব সহজে অ্যালোভেরা জুস তৈরির নিয়ম।সকালে আমরা কি খাচ্ছি, এটি অনেক
গুরুত্বপূর্ণ কারণ সারারাত আমাদের পেট খালি থাকে। এজন্যই ঘুম থেকে উঠে এমন
কিছু খাবার খেতে হবে যা পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং আপনার শরীরকে সুস্থ রাখে। সে
ক্ষেত্রে আপনি সকালে উঠে অ্যালোভেরার শরবত খেতে পারেন। তবে
অ্যালোভেরার অ্যালোভেরা জেল বের করা এবং শরবত তৈরি করার বিশেষ কায়দা
আছে। চলুন শরবত তৈরি বা জুস তৈরির সঠিক প্রসেসটা জেনে নিন।
প্রথমে একটি পাত্রে পরিষ্কার পানি নিয়ে তার মধ্যে কিছুটা তোকমা দানা মিশিয়ে
রাখুন। তোকমা দানা পানিতে পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হব। এরপর একটি পরিষ্কার
অ্যালোভেরার ডগা নিতে হবে অ্যালোভেরার দুই পাশের অংশ কেটে নিতে হবে।
এরপর অ্যালোভেরার ডগার উপরে চামড়াটা ছুরি সাহায্য কেটে নিতে হবে। এরপর একটি
কাটা চামচের সাহায্যে জেলগুলো বের করে নিতে হবে। এতে জেলটি গোলে পেস্ট
এর মত হয়ে আসবে।
একটু সময় নিয়ে অ্যালোভেরার এই জেলটি বের করে নিতে হবে।
কারণ অ্যালোভেরার এই জেলটি ত্বক চুল এবং শরীরের জন্য অনেক উপকারী। জেলটা
বের করে নেওয়ার পর একটি চামচের সাহায্যে অনেক ভালো করে নেড়ে গলিয়ে নিতে
হবে। জেল ভালোভাবে গলিয়ে নেওয়ার পর ভিজিয়ে রাখার তোকমা দানা আর পানি
অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। তাহলে খুব সহজে তৈরি হয়ে
যাবে অ্যালোভেরার জুস। নিয়মিত খালি পেটে অ্যালোভেরার জুস
খেলে আপনার পুষ্টি ঘাটতি দূর হবে। এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবেন।
অ্যালোভেরা খাওয়ার অপকারিতা
অ্যালোভেরা খাওয়ার অপকারিতা। অতিরিক্ত অ্যালোভেরা রস খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। অ্যালোভেরা রসের
প্রচুর পরিমাণ পানি থাকায় একটি হাঁপানি ও হার্টের রোগীদের জন্য অনেক
ক্ষতিকারক। দীর্ঘ সময় ধরে অ্যালোভেরা করার ফলে পেলভিসে রক্ত গঠন
হয়,এতে কিডনির বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় এবং ক্যান্সারের
ঝুঁকি বাড়ায়।
গর্ভাবস্থায় অ্যালোভেরার রস শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। আবার অতিরিক্ত
এলার্জি থাকলে অ্যালোভেরা রস পান করা যাবে না কারণ অ্যালোভেরার রস
এলার্জি অনেক পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। চিকিৎসকদের মতে এলোভেরার রস তখনই
নিরাপদ যখন এটি ঔষধ বা জেল হিসাবে চামড়ায় ব্যবহার করা হয়।
অ্যালোভেরার মধ্যে হলদে যে রসালো ভাব বের হয়, সেটি শরীরের জন্য অনেক পরিমাণের
ক্ষতিকারক পদার্থ।
তাই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারে এবং সেবনে, প্রচুর পরিমাণ সতর্ক থাকতে হবে। অতিরিক্ত
পরিমাণের কোন কিছু ব্যবহার করলে তার অপকারিতা হাজার গুণ বেড়ে যায়। অ্যালোভেরার
পাতা সাধারণত সবুজ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে এলোভেরা নিরাপদ ধরা যা। কিন্তু একটু
বেশি পরিমাণ পুরনো পাতা হোল ডেটে ভাব এলে তা বর্জন করা উচিত।
খালি পেটে অ্যালোভেরা খেলে কি হয়
খালি পেটে এলোভেরা খেলে কি হয়। সকালে খালি পেটে আমরা কি খাচ্ছি এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয, কারণ সারারাত
আমরা খালি পেটে থাকি তাই সকালে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক
উপকারী। এ ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জুস বা শরবত আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
সকালে খালি পেটে এলোভেরা জুস বা শরবত খেলে সারাদিন শরীর তরজা এবং ফ্রেশ থাকে।
জুস বা শরবত বানানো খুব সহজ একটি কাজ এটি অল্প সময়ের মধ্যে আপনি বানিয়ে
সকালে খালি পেটে পান করতে পারেন। অ্যালোভেরার জেলে অনেক পরিমাণ ভিটামিন
ক্যালসিয়াম মিনারিয়াম থাকায় এটি শরীরকে তরতাজা করতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা পানির পরিমাণ প্রচুর পরিমাণ থাকায়, আমাদের শরীরের
অনেক ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে
অ্যালোভেরার জুস বা শরবত খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তাই চেষ্টা
করবেন প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস অ্যালোভেরা শরবত বা জুস
খাওয়ার।
চুলের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা
চুলের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা অপরিসীম। অ্যালোভেরা চুল সিল্কি এবং
মজবুত করতে অনেকভাবে সাহায্য করে থাকে। সব থেকে দূর থেকে তিন দিন অ্যালোভেরা
ব্লেন্ড করে চুলে লাগালে চুল মজবুত এবং সিল্কি হয়। অ্যালোভেরার সাথে মেহেদী পাতা
পেঁয়াজ মেথি কালোজিরা এবং বিভিন্ন ধরনের উপকরণ একসাথে মিক্স করে, সপ্তাহের একদিন
ব্যবহার করলে নতুন চুল গজাতে এবং চুল লম্বা করতে অনেকভাবে সাহায্য করে।
চুলে বিভিন্নভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন, অ্যালোভেরা জেল তৈরি করে রেখে
চুলে দিতে পারেন এবং মাঝেমধ্যে এলোভেরা ব্লেন্ড করে তুলে লাগিয়ে শ্যাম্পু করে
নিতে পারেন। এক্ষেত্রে চুল অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
অ্যালোভেরা বিশেষ করে চুলের জন্য অনেক উপকারী অ্যালোভেরা নতুন চুল গজাতে এবং
চুলের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। চুল সিল্কি এবং মোলায়েম করতে
সাহায্য করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। তাই
প্রতি সপ্তাহে একবার হলেও অ্যালোভেরা ব্যবহার করা চুলের জন্য অনেক উপকারী।
অ্যালোভেরা কি কি রোগে কাজ করে
অ্যালোভেরা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে
সাহায্য করে।অ্যালোভেরা অনেক ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকায় আমাদের
শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অ্যালোভেরার প্রায় বিশ ধরনের খনিজ
উপাদান রয়েছে। যা লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
এবং হজম শক্তি বাড়িয়ে শরীরের ক্লান্তি দূর করে। অ্যালোভেরার প্রচুর পরিমাণ পানি
থাকায় এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার থাকা উপাদানগুলো
হার ও মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে তোলে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url